অনলাইন ডেস্ক:-
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ১২ ডিসেম্বরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালন করছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার রয়েছে নানা আয়োজন।
এদিন সকালে আইসিটি বিভাগে (আইসিটি টাওয়ার, আগারগাঁও) স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ বিভাগ, অধিদফতর সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত থাকবেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে লেখে, ২০২১ সালের লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে এসে রূপকল্প-২০২১ ঠিক করা হয়। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার ১২ ডিসেম্বর তারিখটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ঘোষণা দেয়। ২৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে আইসিটি দিবসের পরিবর্তে এ দিনকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর দিবসটি পালন করে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার সফলভাবে বাস্তবায়নের পর আমরা এখন নতুন কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। সেটি হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি- এ চার মূলভিত্তির ওপর গড়ে উঠবে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ।
তিনি জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের মূল আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সম্মতি দিয়েছেন। এদিন তিনি রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম ও সিনেপ্লেক্স এবং বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করবেন।
পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার মূলনীতি – প্রগতিশীল প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি শীর্ষক একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করবেন। এছাড়া অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার (২০২২) এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২২ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন।